নীলফামারীর জলঢাকা হতে পারে পর্যটনের শহর। জলঢাকায় রয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান । আর সেই স্থান সমূহকে ঘিরে জলঢাকাকে পর্যটন শহর গড়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নেই কোন সরকারি উদ্যোগ। আর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলে সরকার পাবে কোটি টাকা রাজস্ব।
জলঢাকার যে স্থান সমূহে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। সে স্থান সমূহ হচ্ছে তিস্তার প্রধান সেচ খালের জলঢাকা পৌরসভার দুন্দিবাড়ী হতে কৈমারীর বড়ঘাট পর্যন্ত খালের দুই পার্শ্বে বসার জায়গা ও বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো এবং দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য্য বর্ধক খালে পায়ে চালিত ছোট নৌকার ব্যবস্থা করা।
বড় তিস্তার স্পার বাধ ও বড় তিস্তার শহর রক্ষা বাঁধে গাছ লাগিয়ে ও নদীতে নৌকা ও স্পীড বোর্ড দেয়া যেতে পারে। পৌর সভার ডাকুরডাঙ্গা এলাকায় নব থিয়েটার ও চিড়িয়াখানা স্থাপন করা যেতে পারে।
বুড়ি তিস্তার মিলন স্থল শৌলমারীর বানপাড়া সহ কৈমারী হতে আনছারের হাটের ঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাধে বসার জায়গা ও বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো,নদীতে পায়ে চালিত নৌকা, স্পীড বোর্ড দেওয়া, মিনি রেষ্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন দোকান করা যাবে।
কৈমারী ইউনিয়নের সদর ও রথবাজারে সরকারী খাস জমির বড় মাঠে হতে পারে শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক, বিন্যাকুরি সাধুর মন্দির আধুনিকায়ন করা, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় মোঘল আমলের তৈরী এক কাতার মসজিদ। যা সংস্করণ ও সংস্কার মেরামত করলে হতে পারে দর্শনীয় স্থান।
গোলমুন্ডা এলাকার ডালিয়া সড়কের পাশে সুইচ গেট নদীটি হতে পারে ঝরনা স্পট, বালাগ্রাম ইউনিয়নের আলোরবাজার এলাকায় রাজার বাগান হতে পারে পিকনিক স্পট, পাশে বুড়ি তিস্তা নদী আছে, গোলনা ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের ও সাতজান এলাকার খাস জমিতে ইকোপার্ক সহ শিশুপার্ক ও পিকনিক এবং সুটিং স্পট করা যেতে পারে, গোলনা ইউনিয়ন কালীগঞ্জ বধ্যভূমি, ডিমলা সড়কের বুড়ি তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় দুই পার্শ্বে বসার জায়গা ও বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো, এছাড়া খালে পায়ে চালিত ছোট নৌকা দেওয়া।
ধর্মপাল ইউনিয়নে হাতির কড়াই সংরক্ষণ, মাটির নিচে থাকা ধর্মপালের বাড়ী সংরক্ষণ, খেরকাটি হাজীপাড়া ও শিমুলবাড়ীর চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় মোঘল আমলের তৈরী দুই কাতার মসজিদ রয়েছে। যা সংস্করণ ও সংস্কার মেরামত করলে হতে পারে দর্শনীয় স্থান।
খুটামারা ইউনিয়নের হরিশ চন্দ্র পাঠ এলাকার রাজা হরিশ চন্দ্র পাঠের বাড়ী ও মন্দির। যা সংস্করণ ও সংস্কার মেরামত করলে হতে পারে দর্শনীয় স্থান। বর্তমানে যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো হচ্ছে ।
কৈমারীর বড়ঘাটে কোল্ড ষ্টোর ও অটো রাইস মিল, বালাপাড়া কাছারী বাজারের কাছে বিনোদন কেন্দ্র রুপনগর প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে গামছা, লুঙ্গির ফ্যাক্টরী, মীরগঞ্জের চৌপুথী নামক এলাকায় সেন্ডেল ফ্যাক্টরী, মীরগঞ্জে মুড়ি ফ্যাক্টরী, খুটামারা ইউনিয়নের টেঙ্গনমারী এলাকায় মুড়ি ফ্যাক্টরী, জলঢাকা টেঙ্গনমারী সড়কে ইট ভাটা,
গোলনা ইউনিয়নে বাদুরদরগা এলাকায় মিনি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, চিড়াভিজা গোলনা এলাকায় কোল্ড ষ্টোরেজ।
পৌরসভার তেল পাম্প এলাকার নীলফামারী সড়কে মিনি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, দুন্দিবাড়ী ক্যানেলের পারে মুন্নু ইকোপার্ক রয়েছে। নেকবক্ত সড়কের কাজিরহাট এলাকায় রাইস মিল, মডেল মসজিদ, তিন কদম কয়লা সড়কে রাইস মিল, বড়ঘাট, বালাগ্রাম, ধর্মপাল, রাজারহাট এলাকায় মুরগীর খাবার উৎপাদন, রাজারহাট এলাকায় বীজ উৎপাদন খামার, বিভিন্ন স্থানে চুল দিয়ে মাথার ক্যাপ বানানো ফ্যাক্টরী, বয়লার মুরগি ও গরুর খামার আছে। জলঢাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে এ এলাকার বেকার যুবকদেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানান এলাকা বাসী ।
স্থানীয়দের দাবী, সরকারের উদ্দ্যোগে এ স্থান সমূহ রক্ষনাবেক্ষন করে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এলাকার পরিচিতি ও সুনাম আরো বেড়ে যাবে। শুধু পরিকল্পনা ও সিন্ধান্তহীনতার অভাবে আজ হারিয়ে যাচ্ছে জলঢাকার ঐতিহাসিক স্থান সমূহের ইতিহাসঐতিহ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই হতে পারে জলঢাকা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
এইসএস/এমবি