জমির বিরোধের জেরে মারধরে আহত মোক্তারের মৃত্যু
Published : Wednesday, 4 October, 2023 at 8:56 PM Count : 588
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরে আহত মোক্তারের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে দু'জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদুর রশিদ টুটুল।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত সোমবার (০২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালীয়াবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোক্তার মিয়া (৪৩) উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালীয়াবাড়ী গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. সুরুজ মিয়া বাদি হয়ে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় ঘটনার দিনই একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মো. শরফুদ্দিন (৪০) ও মো. রিপন হোসেনকে (৩০) গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই বলেন, নিহতের পরিবারের সঙ্গে বিবাদীদের দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত সোমবার আনুমানিক সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিহত মোক্তার মিয়া তার চাচাত বোন মোসলেমা বেগমের কাছ থেকে ক্রয়কৃত জমির সীমানা পিলার স্থাপন করতে যায়। ওই সময় সময় প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিহতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোক্তার মিয়া গুরুতর আহত হন। সে সময় মোক্তারকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই আক্তার এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকেও এলোপাতারী মারধর করে।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা মোক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ হলে স্বজনরা তাকে রাজধানী উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দু'জনকেই গত সোমবার আটক করে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোক্তারের মরদেহ তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ওই সময় মারামারির মামলা হলেও যেহেতু একজন মারা গেছেন তাই এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
-আরএস/এমএ
