রাজশাহীতে ধর্ষণের পর মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা, মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
Published : Friday, 9 February, 2024 at 8:16 PM Count : 128
রাজশাহীতে নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও মুক্তিপন আদায়ের ঘটনার মূল হোতাসহ জড়িত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। এনিয়ে মোট চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় র্যাব-৫ এর কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার হেঁতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার নরুল ইসলামের ছেলে মূল হোতা আলমগীর রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম (৩৫) ও তাদের সহযোগি চন্দ্রিমা থানার উপড়ভদ্রা এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)।
র্যাবের অধিনায়ক বলেন, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর কোট স্টেশন এলাকায় এক নারী তার মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন। এসময় ফোন খুঁজে দেবার আশ্বাসে আলমগীর রয়েল ওই নারীকে তার সঙ্গে নিয়ে ভদ্রা এলাকায় যান। সেখানে এক বাড়িতে আসামি আলমগীর তার স্ত্রী, স্ত্রীর বড়বোন এবং তাদের সহযোগি নারীর সহায়তায় ভুক্তভোগীকে জোর করে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে।
এরপর ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের জন্য মুক্তিপন দাবি করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় মূল আসামি আলমগীর ছাড়াও স্ত্রী হেলেনা খাতুন, হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম ও তাদের সহযোগি মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, আসামি আলমগীর এবং তার স্ত্রী প্রতারক ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তাদের বাড়ি থেকে এভাবে প্রতারণা করে নেওয়া অনেকগুলো চেক ও জমির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া, আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নারী শিশু আইনে একটি মামলা আছে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
এফএ/এমবি