For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

৫০ হাজার টাকার জন্য গৃহবধূকে হত্যা

Published : Saturday, 6 January, 2024 at 8:27 PM Count : 764


শেরপুরের নকলায় যৌতুকের বলি হলেন গৃহবধূর সাজেদা খাতুন (২০)। সে ৪ মাস বয়সী এক সন্তানের জননী। মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ীকে। 

শনিবার দুপুরে উপজেলার উরফা ইউনিয়নের খিচা এলাকায় হামিদুল ইসলামের বাড়ী থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে নকলা থানা পুলিশ। নিহত সাজেদা খাতুন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ি এলাকার সাজু মিয়ার মেয়ে। 

নিহতের বাবা সাজু মিয়া বলেন, দুই বছর আগে আমার মেয়ে সাজেদা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছিলাম নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের খিচা এলাকার হামিদুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিতে থাকে জামাই হামিদুল, শশুর জমির উদ্দিন ও শাশুড়ী রহিমা বেগম। 
হামিদুলও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছে টাকা চাইত। মেয়ের সুখের কথা ভেবে ১ লাখ টাকা দেই। পরে তারা আরো ৫০ হাজার টাকা চায়। আমি দিতে ব্যার্থ হই। আমি টাকা না দিলে তারা আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করত। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে সাজেদা শশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়ি চলে আসে। 

পরে আমার বিয়াই জমির উদ্দিন শুক্রবার আমার মেয়েকে আনতে আসে। আমি মেয়েকে বলি তোর শশুর আসছে বাড়ি চলে যা। পরে বিয়াই বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে যৌতুক। না দিলে বাড়িতে আপনার মেয়ে কিন্তু সুখে থাকতে পারবে না। 

আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে পারেন না, তাহলে ছোট মেয়েকে বিয়ে দিছেন তার টাকা কোথায় পেলেন। আমি আমার মেয়েকে বলি থাক যেতে হবে না শশুর বাড়ি। পরে মেয়ে সাজেদা বলে থাক বাবা আমি যাব দেখি টাকার জন্যতো আর আমাকে মেরে ফেলতে পারবে নাতো। পরে শশুরের সাথে চলে আসে। 

শনিবার সকাল ৮টার সময় শুনি আমার মেয়ে মারা গেছে। সে অসুস্থ্য ছিল না। আর অসুস্থ্য হলে তাকে হাসপাতালে নিতো বা আমাকে সংবাদ দিতো। কিন্তু কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে জানায়নি। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি উপযুক্ত বিচার চাই। 

এ বিষয়ে নকলা থানা ওসি মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, গৃহবধূর সাজেদা খাতুনের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ তাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী, শশুর ও শাশুড়ীকে আটক করেছি। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


এসআইএল/এমবি


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,