অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
Published : Sunday, 31 December, 2023 at 3:23 PM Count : 190
ভোলার চরফ্যাশনে হারুন নামে এক অটোরিকশাচালককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার র্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক মো আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে র্যাব-১০ এর একটি গোয়েন্দা টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান চরফ্যাশন উপজেলার টেকেরহাট মসজিদ এলাকার মো. ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত হারুন একই উপজেলার শশিভূষণ থানা এলাকার আব্দুল মুনাফ পালোয়ানের ছেলে।
র্যাব-১০ এর কাছে এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় তিনিসহ চার জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দু’জন মামা-ভাগ্নে।
র্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক মো আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে হারুন তার অটোরিকশা নিয়ে চরফ্যাশন বাজারে যায়। এরপর মিজানসহ চার জন কিশোর হারুনের অটোরিকশায় যাত্রীবেসে উঠে হারুনকে উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা চার জন সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে গলা কেটে হারুনকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
মিজান র্যাবকে জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে তারা চার জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে দু’জন আপন মামা-ভাগ্নে। আসামি গ্রেপ্তারের স্বার্থে প্রতিবেদনে অন্য তিন জনের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চার কিশোরই চোরাকারবারী ও ছিনতাইয়ে জড়িত।
মিজান আরও জানায়, সে নিজে হারুনের গলায় ছুরি চালায়নি। সে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের চার জনের মধ্যে একজন প্রথমে হারুনকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে হারুন নদীর তীরের দিকে দৌঁড় দেয়। তখন তাদের চার জনের মধ্যে একজন দৌঁড়ে গিয়ে হারুনকে ঝাপটে ধরে মাটিতে শোয়ায়। এরপর পুনরায় সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হারুনের গলা কাটা হয়। হারুনের গলা কাটা মরদেহ নদীর তীরে ফেলে রেখে তারা অটোরিকশা নিয়ে লালমোহন উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামে চলে যায়।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় তার বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হারুনকে গলাকেটে হত্যা করে আসামিরা তার অটোরিকশাটি লালমোহনের ফুলবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়। ঘটনার সাত দিনের মাথায় র্যাব-১০ মিজানকে গ্রেপ্তার করে চরফ্যাশন থানায় সোপর্দ করে। মিজান এ ঘটনায় অন্য যাদের নাম বলেছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
-এসএফ/এমএ