শহীদ জিয়া কলেজে কেন্দ্রর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক এস এম মাসুম ও বামনপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক রশীদুল বারী বলেন, সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহন শুরু করা হয়। জেলার দুটি আসনে ২’শ ৪৯টি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ৪ হাজার ৪৪৬ জন ভোটগ্রহন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২৪৯ জন, সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এক হাজার ৩’শ ৯৯ জন ও পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন ২ হাজার ৭’শ ৯৮ জন। ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনও প্রদান করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-১ আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ১৪৬টি, ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৯২ টি। ভোটার হচ্ছেন ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার হচ্ছেন ২ লাখ ৮৫ জন। কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১০৩ টি, ভোট কক্ষ হচ্ছে ৬০৭ টি। এ আসনে ভোটার হচ্ছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৪৩ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯১ জন।
পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান জানান, জয়পুরহাট-১ আসনে ১ শ ৪৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪ টি কেন্দ্র সাধারন হলেও ১০২টি গুরুত্বপুর্ন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২ আসনেও ১০৩ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯ টি কম সাধারন ও ৬৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপুর্ন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গুরুত্বপুর্ন কেন্দ্র গুলোর জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান রশীদুল হাসান। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার সদস্যের সঙ্গে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
এ ছাড়াও র্যাব, বিজিবি ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। জয়পুরহাট-১ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড: সামছুল আলম দুদু (নৌকা)। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী নাই। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাম গনতান্ত্রিক জোট সমর্থিত বাসদ নেতা অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ (মই), জাপা নেতা তিতাস মস্তোফা (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে দেওয়ান মো. জহুরুল ইসলাম (হাত পাখা) ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগম (ডাব)।
জয়পুরহাট-২ আসনে রয়েছেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ( নৌকা), বিএনপি নেতা এ্যাড: আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান (ধানের শরীষ), বামগনতান্ত্রিক জোট সমর্থিত বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির শাহ জামাল তালুকদার (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আব্দুল বাকী লড়ছেন হাত পাখা প্রতীক নিয়ে।