সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী খাল দখলকারীদের অভিযোগ তদন্তে এসে আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় সাপখালী খাল জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
তদন্তকালে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন খাল দখলকারীদের বিচারের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, জাল যার জলা তার। সাপখালী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে মৌতলা, বিষ্ণুপুর ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। একই সাথে খাল দিয়েই এসব ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশিত হয়।
অথচ স্থানীয় নুরুল ইসলাম মোড়ল সরকারি প্রবাহমান খালকে নিজের দাবি করে নেট-পাটা দিয়ে স্থানীয় জনগণকে তাদের অধিকার বঞ্চিত করছে। জীবন দিয়ে হলেও এই খাল রক্ষা করা হবে। এ সময় তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গত ৮ আগস্ট কালিগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাসুম সাপখালী খালের নেটপাটা অপসারণ করেন। এ ঘটনায় খাল দখলকারী নুরুল ইসলাম মোড়ল সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাসুম ও কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমানের নামে দুই কোটি টাকার মাছ লুটপাটের অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগ তদন্ত শেষে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী কালিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা শাহীনকে আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় সাপখালী খাল জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দেন।