নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাট মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এএনজেড নামের এক টেক্সটাইল মালিক।
বুধবার বিকেলে উপজেলার উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ এনজেডের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলজার হোসেন প্রধান, যুবদল নেতা সুমন মিয়া নান্টু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার এক বছর আগে টেক্সাইল মিল করার জন্য জমি ক্রয় করেন। তিনি সেখানে ১লা জানুয়ারী থেকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ভূইয়ার নেতৃত্বে যুবদল নেতা এমদাদুল হক দিপু ও মুছাসহ শতাধিক লোকজন ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে গত ১৫ জানুয়ারী সকালে প্রায় কোটি টাকার রড, সিমেন্ট ও ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অজ্ঞাত কারনে মামলা নেয়নি। এক সপ্তাহ ধরে থানায় ধরনা দিয়ে মামলা করতে না পেরে গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। লুটপাটের ঘটনায়তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বুধবার যুবদল নেতা এমদাদুল হক দিপু বাদি হয়ে শিল্প মালিক আনোয়ার হোসেন, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলজার হোসেন প্রধান, জমির মূল মালিক শহিদুল্লাহসহ ৭ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। তবে গোলজার হোসেন প্রধান আমাকে সহযোগিতায় করায় তাকেও ওই মামলায় আসামী করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর লুটপাটের মামলা করার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। প্রতিদিন তার বাসার সামনে গিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ধামকি দিয়ে আসছেন। মামলা তুলে না দিলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে তার পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের সকল অপর্মের বিরুদ্ধে বিএনপির নীতি নির্ধারক ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা এমদাদুল হক দিপু বলেন, চাঁদা দাবি ও মালপত্র লুটপাটের ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত না। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আনোয়ার যে জমি ক্রয় করেছে সেই জমি আমরা বায়না সূত্রে মালিক। আমাদের জমি সে ক্রয় করেছে। সেই জমি ছেড়ে দেবে শর্তে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছে। তাই মামলা দিয়েছি।
এইচএমআর/এসআর