মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। এক সপ্তাহে তিনটি খুনসহ ব্যাপক হারে বেড়েছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। এসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। এসব প্রতিরোধে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরব ভূমিকা পালন করছে।
গত ১৬ জানুয়ারি সকালে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরঞ্জি চা বাগানের পাহাড়ি ছড়া থেকে দীপেন মুন্ডা (২৮) নামের এক চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বাজার লাইন এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকানে ঢুকে ভাবি কারিমা বেগমকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন দেবর মঞ্জুর মিয়া।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি কমলগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর আলেপুর গ্রামে স্বামী আজদ বক্স কর্তৃক স্ত্রী মনোয়ার বেগম (৩৫) কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
বিগত কয়েক দিন ধরে মুন্সীবাজার, পতনউষার, আদমপুর, মাধবপুর, শমশেরনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘর থেকে রাতের আঁধারে গরু ও মহিষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া প্রায় রাতে উপজেলার কোনো না কোনো গ্রামে মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশ করেছে বলে ঘোষণা প্রচারিত হয়। এতে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েছে। দ্রুত প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকবে।
এছাড়া, প্রায় প্রতিদিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন বালু মহাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু পাচার এবং সরকারি বন ভূমি থেকে গাছ পাচারের ঘটনা ঘটছে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে কমলগঞ্জ থেকে কিছু ডাকাত আটক করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান তৎপর রয়েছে।
এক সপ্তাহে তিনটি খুনের বিষয়ে তিনি বলেন, আসামিদের আটক করা হয়েছে। এগুলো পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে ঘটছে। তবে চুরি-ডাকাতির বিষয়ে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
এসএস/আরএন/এএম