ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে সিটি ও মেঘনা গ্রুপের ভোজ্যতেল কারখানা পরিদর্শন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এসব কারখানা পরিদর্শন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় সিটি গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। মতবিনিময় সভায় সিটি গ্রুপের জিএম (এডমিন এন্ড অপারেশন) এম এ জলিল, জি এম আব্দুল লতিফ চৌধুরী, ডাইরেক্টর বিশ্বজিৎ সাহা, অ্যাডভাইজার অমিতাভ চক্রবর্তী ও ডাইরেক্টর (টেকনিক্যাল) সাইদ রফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকৃত সিটি গ্রুপ থেকে বিগত এক মাসের ভোজ্যতেল আমদানি ও উৎপাদন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সিটি গ্রুপ ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৯৩৮ টন পাম অয়েল আমদানি, ১২ হাজার ২৭২ টন উৎপাদন ও ১১ হাজার ১১২ টন ডেলিভারি করা হয়েছে। একই সময়ে মোট ২০ হাজার ২৫ টন সয়াবিন তেল আমদানি, ৩৩ হাজার ৪৫২ টন উৎপাদন ও ২৯ হাজার ৪১৫ টন ডেলিভারি করেছে।
১লা জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ১৮০ টন সয়াবিন তেল ও ৩ হাজার ৭৯৬ টন পাম তেল ডেলিভারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকৃত মেঘনা গ্রুপের সোনারগাঁও সিড ক্রাশিং মিলস লি. থেকে বিগত এক মাসের ভোজ্যতেল আমদানি ও উৎপাদন তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেঘনা গ্রুপ ডিসেম্বর মাসে মোট ৫০ হাজার ৫৯১ টন সয়াবিন তেল আমদানি ও ৩৭ হাজার ৬১৮ টন ডেলিভারি করেছে এবং ১৪ হাজার ৩০৭ টন পরিশোধিত পাম তেল আমদানি ও ৮ হাজার ৮০৪ টন ডেলিভারি করেছে।
জানুয়ারি/২৫ মাসে মোট ৪০ হাজার ৫৮৯ টন সয়াবিন আমদানি ও ২৪ হাজার ৪৯৭ টন ডেলিভারি করা হয়েছে এবং ৯ হাজার ৯৫৪ টন পরিশোধিত পাম তেল আমদানি ও ৬ হাজার ৯৪২ টন ডেলিভারি করা হয়েছে।
আসন্ন রমজানসহ সারাবছর সরবরাহ চেইনে ঘাটতি না হয়, সে ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সিটি গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনের পরে সংশ্লিষ্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠানসমূহ ভোজ্যতেলের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিকভাবে সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কারখানায় গিয়ে উচ্চতর কর্মকর্তাদের কাউকে না পেয়ে পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শবনম ভেজিটেবল অয়েল (টি কে গ্রুপ) পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি বলেও জানায় ভোক্তা অধিদপ্তর।