নীলফামারীর জলঢাকায় অসহায় বয়স্ক, এতিম শিশু এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে আইএফআইসি ব্যাংক ও ডিসিআই-আরএসসির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গাবরোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এবং ডিসিআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এহসান হক।
এ সময় বৃদ্ধা নূর বানু বলেন, ঠান্ডায় অনেক কষ্টে আছি। এই শীতের রাতে ভালো ভাবে ঘুমাতে পারি না। আমি গরিব মানুষ, কম্বলও কিনতে পারি না। আমারে দেখার কেউ নাই। স্যারেরা এই শীতের সময় একখান কম্বল দিয়ে আমার অনেক উপকার করেছে। এখন রাতে ভালো করে ঘুমাতে পারব।
ডিসিআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এহসান হক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, ডিসিআই-আরএসসি শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সমাজের অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসেবামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অসহায় ও দুঃস্থদের পাশে থাকব। অসহায় মানুষের জন্য এই জনহিতকর পদক্ষেপে আমাদের সাথে থাকার জন্য আমরা আইএফআইসি ব্যাংকের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, এমন একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ডিসিআই-আরএসসি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গরিব, অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য জলঢাকা উপজেলাকে বিবেচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
আরএসসির এরিয়া ম্যানেজার মো. আবদুল ওয়াহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈমারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পেয়ারি বেগম, আইএফআইসি ব্যাংক নীলফামারী শাখার ব্যবস্থাপক শাহাজাদী খাতুন, গাবরোল সিদ্দিকীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার, জলঢাকা প্রেস ক্লাব সদস্য হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ উপজেলার অসহায়, দরিদ্র ৫০০ বয়স্ক ব্যক্তি, এতিম শিশু এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের সময় কম্বল পেয়ে সকল দুঃস্থ মানুষ আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এইচএস/আরএন/এমএ