বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়, রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে চাই। সবাই মিলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে চাই।
‘সবাই একসঙ্গে সেই দানবকে, ফ্যাসিস্টকে সরাতে পেরেছি, তাহলে আমরা কেন পারব না একটি নতুন সম্ভাবনার রাষ্ট্র নির্মাণ করতে?’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ১ম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ মাস পর অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন আমাদের অর্জন কী? অর্জন হচ্ছে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে নি:সংকোচে, নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের একটি বড় বিজয় বলে মনে করি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। আমি জানি, সে চেষ্টা সফল হবে না। আমরা অবশ্যই সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব, আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, জাতি এক ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমরা আবার নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি, কথা বলছি। এখন যেটা প্রয়োজন, সকল উসকানির পরেও আমরা যেন সিদ্ধান্তে অটল থাকি, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই, বৈষম্য দূর করতে চাই, বাংলাদেশের তরুণদের হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই।
বিএনপি সংস্কারের কথা আগেই বলেছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি। আবারও বলছি, আমরা সংস্কার চাই। কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা এটা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আমরা সংস্কারের আগেই নির্বাচন চাই বা নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছি। বিষয়টা তেমন না। আমরা যেটা বলছি, নির্বাচন কেন দ্রুত চাই? এই কারণে দ্রুত চাই যে, নির্বাচনটা হলেই আমাদের শক্তি আরও বাড়বে। সরকার থাকবে, সংসদ থাকবে। যে সংকটগুলো সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো দূর হয়ে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই কথাও বলেছি যে, নির্বাচনের পরে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই। সবাই মিলে রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাই। যারা অন্যান্য দলে আছেন, তারা অবশ্যই এটা ভাববেন, চিন্তা করবেন। তারা তাদের যে মতামত, সেটা দিবেন।
বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন ও দিয়ে যাবেন, জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছি না, অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। তাদেরকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। তাদের পক্ষে সম্ভব, আমরা একটি পথ খুঁজে পাব, যে পথে আমরা সবাই এগিয়ে যেতে পারব।
এসআর