চাঁদার দাবিতে রাজধানীল কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ীকে প্রাণনাসের হুমকি দেওয়া যুবদল নেতাসহ ৫ জনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
সম্প্রতি ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল্লাহ (৬২) তেজগাঁও থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রয়ারি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অনুমোদিত কাওরানবাজারের মালিকানাধীন শিশুপার্ক আড়ৎ মার্কেট সংলগ্ন পূর্ব পাশে ২নং কাঁচামালের দোকান অনামে প্রকৃত মালিক হয়ে আমি ভোগ দখল করছিলাম। এবছরের ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১নং আসামী ফরাজুল ইসলাম ফরহাদ, মিন্টু অরফে চশমা মিন্টু, ফুড মিন্টু, আব্দুল জলিল, ভাগিনা ফারুকসহ আরো অনেকে আমার কাঁচা মালের আড়তের দোকান ভোগ দখলের পায়তার করছে। এবং আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা শহীদুল্লাহ’কে পরে দেখে নিবে মর্মে হুমকি দিয়ে আসতেছিল।গত ৫ আগস্ট দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ টায় দোকানের সামনে এসে তার কাছে পূর্বের দাবিকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আবারও শহীদুল্লাহ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ভাগিনা ফারুক, ফরাজুল ইসলাম ফরহাদ, চশমা মিন্টু, ফুড মিন্টু, আব্দুল জলিলসহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগি শহীদুল্লাহ আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থাকাকালীন সময়ে আমি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। বিদায় আমাকে প্রতিনিয়ত যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে অনেক নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হতে হয়েছে। বর্তমানে এসে আবার চাঁদাবাজদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে ফরাজুল ইসলাম ফরহাদ, চশমা মিন্টু, ফুড মিন্টু, আব্দুল জলিল, ভাগিনা ফারুকদেরকে একাধিকবার ফোন করেও কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মামলার হওয়ার পর থেকে সবাই আত্মগোপনে চলে যান।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, “শহিদুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। আমরা আসামীদের ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা নিজ উদ্যোগে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছি। প্রয়োজনে আরও করবো। চাঁদাবাজি বন্ধে আমরা তৎপর আছি। যতোখানি সম্ভব এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনবো।
এসআর