গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রেজাউল শেখ নামের ব্যক্তির মাধ্যমে সৌদিতে গিয়ে রুবেল মিয়া নামের এক যুবক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। আকামা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হওয়ার একপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে একটি কোম্পানির মামলায় পড়েছেন রুবেল মিয়া। এ পরিস্থিতিতে বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে কাঁদছে তার পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর ভাঙ্গামোড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে- প্রবাসী রুবেল মিয়ার মা ও স্ত্রী-সন্তানের আহাজারির দৃশ্য। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে হাউমাউ করে কেদে ওঠেন তারা। এ বিষয়ে সম্প্রতি থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগি রুবেলের স্ত্রী মিনারা বেগম।
দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর ভাঙ্গামোড় গ্রামের ছফিয়াল শেখের ছেলে রেজাউল শেখ একই গ্রামের মৃত মোন্তাজ মিয়ার ছেলে রুরেল মিয়াকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেন। এরই একপর্যায়ে রুবেল মিয়া ধারদেনা করে রেজাউল শেখকে চার লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষে রেজাউল শেখ তার সৌদি প্রবাসী সমন্ধি কামাল মিয়ার কাছে পাঠান। আকামা ছাড়াই সেখানে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন রুবেল। এরপর জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন কৌশলে একাধিক কোম্পানি কাজ নিয়েও তা স্থায়ী হয়নি। উল্টো রেজাউল শেখ ও কামাল মিয়ার কারসাজিতে একটি কোম্পানির মামলায় পড়েন রুবেল মিয়া। এসব ঘটনার শিকার হয়ে সৌদিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রুবেল মিয়াসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী রুবেল মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম বলেন, আমরা অত্যান্ত গরীব মানুষ। বিভিন্ন স্থানে দাদনের টাকা নিয়ে রেজাউল শেখকে চার লাখ টাকা দিয়েছি। আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে রেজাউল শেখ ও তার সমন্ধি কামাল মিয়া আমার স্বামীকে সৌদিতে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করেছে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানা ও গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল শেখ বলেন, চার লাখ টাকা নিয়ে বৈধভাবে রুবেল শেখকে সৌদিতে পাঠিয়েছি। সেখানে তিনি কর্ম করতে না পারলে এ জন্য আমি দায়ি না । রুবেলের সঙ্গে কোন ধরণের প্রতারণা করিনি।
সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, বাদির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে যাওয়া হয়। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিএইচজে/ এসআর