এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শহীদ জোহা চত্বরে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল কোটার নামে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সেখানে কোটা থাকা মানে চব্বিশের বিপ্লবীদের সঙ্গে বেঈমানি করা। অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হয়। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল তা পুরোপুরি বাতিল করার।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের সন্তানেরা কোনোভাবেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আশাহত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
আমরণ অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সাইন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, আমাদের চব্বিশের গনঅভ্যুত্থানের দাবি ছিল কোটার বিরুদ্ধে। সেখানে এ কোটাই যদি থেকে যায়, তাহলে চব্বিশের বিপ্লবীদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন এ কারণে আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিগত ৪৭ বছর ধরে এই কোটা চালু আছে। আমিই প্রথম এটায় হাত দিয়েছি। এই কোটা রিভিউয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটা কমিটি করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে তাদের বিষয়টাও চিন্তা করা হয়েছে। এই কোটা সংস্কারে তাদের জোড়ালো দ্বিমত ছিল। তবুও এটা ৪ শতাংশ থাকলেও ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অনশনের বিষয়ে উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে সবাইকে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়। এ বছর যেহেতু একটু সংস্কার হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এটা আরও কমিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।