শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডহরগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ বাবুল (গৃহকর্তা), মোছাম্মৎ সেলি (গৃহকর্ত্রী), মো. সোহেল, মোসাম্মৎ মুন্নি, মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোছাম্মৎ তাসলিমা।
দগ্ধ বাবুলের চাচা মোগল মিয়া এবং প্রতিবেশী জুয়েল রানা জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করত। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। আমরা ধারণা করছি- লাইনের গ্যাস লিকেজ হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয় জনই দগ্ধ হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, সবাই ৫৫ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে তাদের সবাইকেই বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে নারী ও শিশুসহ ছয় জন দগ্ধ হলে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
-এসএম/এমএ