সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ০১ থেকে ০৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিন পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
এর আগে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দুই দফায় গত ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছিলো জেলা প্রশাসন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোরে খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ায় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর জেলার দিঘীনালা উপজেলার লারমা স্কোয়ার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। ওই ঘটনায় সেখানে তিন জন নিহত হন।
এ ঘটনার উত্তাপ পর দিন রাঙামাটি শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরে শত শত পাহাড়ি জনতা মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বনরূপা এলাকার দোকানপাট ও স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। পরে দুপুরে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৩জন।
এই ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্রজনতা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয়। এতে গত তিন দিন ধরে সাজেকে আটকা ছিলেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। অবরোধের পরের দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সাজেক ছাড়ে পর্যটকরা।