মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কৃষক মো. নুর হোসেন একই এলাকার তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামের আনছার হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামে মুগ ডাল ক্ষেতে বিষ মেশানো চাল প্রয়োগ করেন কৃষক নুর হোসেন। এতে ওই গ্রামের ৩ কবুতর খামারির ৫৪ টি কবুতর মারা যায়।
স্থানীয় কবুতর খামারি হারুন মিয়া বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত আমার ১৭ টি কবুতর মারা গেছে। মারা যাওয়া অনেক কবুতরের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন এই বাচ্চা কবুতরগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। আমি অনেক লোকসানে পরে গেলাম। নুর হোসেনের মুগ ডাল ক্ষেতের বিষ মেশানো চাল খেয়ে এসব কবুতরের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষেতে বিষ দেওয়ার বিষয়টি আগে আমাদের জানালে আমরা কবুতর আটকে রাখতাম।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমার গত ১ এক সপ্তাহে মোট ৭০ টি কবুতর ডাল ক্ষেতে বিষ প্রয়োগে মারা যায়।
স্থানীয় অপর কবুতর খামারি খলিল হাওলাদার বলেন, আমার খামারের ২৮ টি কবুতর মারা গেছে। মারা যাওয়া এসব কবুতরের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে। এতে আমি লোকসানে পড়ে গেছি।
একই কথা জানিয়েছেন খামারি লিটন হাওলাদার। তার ৯ টি কবুতর মারা গেছে। এ ছাড়াও ঘুঘু ও শালিকসহ বিভিন্ন পাখিরও মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. নুর হোসেন খেতে বিষ প্রয়োগের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তিনিও কবুতর পালন করেন বলে জানায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ নান্টু বলেন, খেতে বিষ প্রয়োগের কারণে কবুতর মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আমি একটু পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ডাল খেতে বিষ প্রয়োগের কারণে বন্য পাখির ও কবুতর মারা যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।