সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাইল, করাটিয়া ও পাইস্কা-বাসুন্দা এলাকার বিলটি একসময়ের ঘোড়া দৌড়ের মাঠ নামে পরিচিত। এ বিলে প্রায় পাঁচশতাধিক বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। জমিগুলোতে বছরে দুইবার চাষাবাদ করা হয়। প্রতিবিঘা জমিতে কমপক্ষে ২২/২৫ মন ধান উৎপাদন হয়। এছাড়াও সরিষা, গম, জব, পাটসহ নানাবিধ ফসল চাষাবাদ হয়। চাষাবাদের জন্য অন্যান্য বছরের মত এবারো ৩ হাজার ৭শ টাকায় প্রতি বিঘা জমিতে সেচের পানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যুরো প্রজেক্ট। কিন্তু মাটি খেকুদের হুমকি-ধামকিতে বন্ধ রেখেছে পানি উত্তোলন কার্যক্রম। আর প্রতিনিয়তই কৃষি জমি থেকে গভীর খনন করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিচ্ছে মাটি খেকুরা। আর মাটি কাটার সুবিধার্থে বন্ধ রেখেছে সেচেঁর পানি। ফলে শতশত বিঘা কৃষি জমিতে এবছর চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে গভীর খনন করে মাটি কাটায় ভেঙ্গে পরছে পাশের জমিগুলো।
পাইস্কা এলাকার কৃষক পনির হোসেন জানান, অন্যান্য বছর মাঘ মাসে ধানের চারাগুলো পুরোপুরি সতেজ হয়ে ওঠে। পানির অভাবে এবছর এখনো হাল চাষই করতে পারিনি।
বাসুন্দা এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার প্রায় সবগুলো বিলের জমিই বিভিন্ন আবাসন কোম্পানি বালু ভরাট করে রেখেছে। ঘোড়া দৌড়ের মাঠই একমাত্র বাকী ছিল। এখন এ বিলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেলে গরীব কৃষকরা না খেয়ে মরবে।
নাসির ও সেলিম মিয়াসহ একাধিক কৃষক বলেন, এই বিলে কমপক্ষে ১০/ ১২ হাজার মন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। মাটি খেকুদের বিরুদ্ধে যদি আইনি পদক্ষেপ না নেয়া হয় আর পানির সংকটে যদি চাষাবাদ বন্ধ হয়। তাহলে বিপর্যের মুখে পরবে দেশ। সময় থাকতেই সংশ্লিষ্ঠদের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সনেট সোহেল (জুবায়ের) বলেন, আমাদের এমপি গাজী কৃষকের বন্ধু। তিনি সবসময় কৃষকদের পাশে থাকেন। এমপি গাজীর অনুপ্রেরণায় আমি ও ভোলাব ইউনিয়নের ৬নং ইউপি সদস্য বাদশা মোল্লা, ৭নং ইউপি সদস্য এমরান হোসেন রিপন, ৮নং ইউপি সদস্য বাচ্চু মোল্লা মিলে কৃষকদের সুবিধায় একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছি। এই টিউবওয়েল থেকে উত্তোলিত পানিতে চাষাবাদ হবে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ বিঘা জমি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, এরকম অভিযোগ পাইনি। কৃষকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।