Friday | 6 December 2024 | Reg No- 06
হোম

কুড়িগ্রামে ফের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

ভাঙন আতঙ্ক কাটছে না তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের

Published : Tuesday, 29 August, 2023 at 6:00 PM Count : 132

কুড়িগ্রামে আবারও বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পনি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি বিপদসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানিও।

এতে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলো। এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি না উঠলেও কাঁচা সড়ক তলিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রাতে পানি বেড়ে রাস্তা তলিয়ে গেছে। আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন বেড়েছে তিস্তা পাড়ে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তার বাম তীরে অন্তত ২০টি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

রাজারহাটের খিতাবখা এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষরা জানান, বছরের পর বছর ধরে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ করছে না। চেয়ারম্যান, ইউএনও দেখে যায় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। শুধু বলে যায় কাজ হবে, কাজ হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তায় স্থায়ী ভাঙনরোধে সরকারের পরিকল্পনা থাকায় বড় কোনো প্রকল্প চলমান নেই। এ কারণে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরপাঠ এলাকার আমিনুল জানান, বুড়িরহাটের স্পারের মাথা দেবে যাওয়ায় পাড়ের পাশ দিয়ে পানির স্রোত তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। স্পারের বাকি অংশ ঠেকানো না গেলে ভাঙন তীব্র হয়ে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই।

-ওটি/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close