সাবেক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ
Published : Tuesday, 5 October, 2021 at 3:22 PM Count : 358
সাভারের আশুলিয়ায় জোর করে রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নেয়ার পর বকেয়া বেতন চাওয়ায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে কারখানাটির জেনারেল ম্যানেজারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার আশুলিয়ার কাঠগড়া মন্ডলপাড়া এলাকার ফিউচার ক্লথিং নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার কাঠগড়া মন্ডলপাড়া এলাকার সাবেক যুবলীগ নেতা ও কারখানার মালিক সোহাগ মন্ডল, কারখানার জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম ও সিকিউরিটি ইনচার্জ অমল কুমার ঘোষ।
ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বেতন চাইতে কারখানায় যান। এ সময় কারখানার মালিক সোহাগ মন্ডল, জিএম শহিদুল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ অমল কুমার ঘোষ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে সোহাগ মন্ডল।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী বলেন, আমি পরিশ্রমের টাকা চাইতে গেছিলাম। কিন্তু তারা আমায় বেতন না দিয়ে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি আল-কামরান বলেন, গত ঈদের আগে বকেয়া বেতন চাইলে এই সোহাগ মন্ডল তিন জন শ্রমিককে মারধর করে। সেই তিন জনসহ নয় জনকে বকেয়া বেতন ছাড়াই বের করে দেয়। এই নয় জন শ্রমিক মিলে শিল্প পুলিশে অভিযোগ করলেও কোন বিচার হয়নি। আবার একজন নারী শ্রমিক বেতন চাইতে গেলে সোহাগ মন্ডলসহ তিন জন মিলে তাকে মারধর করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি অতি দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। কেন বার বার কারখানা কর্তৃপক্ষ বহিরাগত লোক দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। এর দায়ভার সব কারখানা কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিউচার ক্লথিং লিমিটেডের শ্রমিকদের মারধর ও শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আগামী শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে সাভার আশুলিয়া শ্রমিক সংগঠেনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হবে।
-ওএফ/এমএ