সড়কে ধান রোপণ করে প্রতিবাদ
Published : Wednesday, 28 July, 2021 at 8:00 PM Count : 447
কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় মগনামা হাই স্কুল সড়ক সংষ্কারের দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে সড়কের উপর ধানের চারা রোপন করে অভিনব প্রতিবাদ জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের হাই স্কুল সড়কটিতে গত ত্রিশ বছর ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিনও সংষ্কার না হওয়ায় ওই সড়কটি বর্তমানে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কের বেহাল দশা যাতায়াত থমকে গিয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, মগনামা হাই স্কুল সড়কটি ১৯৯২ সালে ব্রিক সলিং দ্বারা সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হাই স্কুল সড়ক সংষ্কার করে। মুহুরীপাড়া বাজারের পশ্চিম সীমানা থেকে সড়কটি পূর্বদিকে বহমান। বাইন্যাঘোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পর্যন্ত এর বিস্তৃতি প্রায় ৩ কিলোমিটার। তবে সেই সময় দেড় কিলোমিটারে ব্রিক সলিং দ্বারা উন্নয়ন সাধিত হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৩০ বছরেও সড়কটি পুন:সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন হয়নি।
মুহুরীপাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক হাসেম বলেন, হাই স্কুল সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংষ্কার না হওয়ায় সড়কের বিপুল অংশে এখন ইট নেই। খানাখন্দকে ভরপুর। বড় বড় গর্ত আর কাদার মিশ্রণে সড়কটি এখন বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপণ করে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাজেম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিশাপ পড়েছে সড়কটির উপর। কোন জনপ্রতিনিধি সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসেনি। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে স্থানীয়রা ব্যক্তি উদ্যোগে সড়কটির আংশিক সংষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি হাই স্কুল সড়ক উন্নয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। ইটের কংকর ও বালি দিয়ে সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিন গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে সড়ক সংষ্কারের দাবীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপণ করে।
লবণ ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইউনুছ জানান, আমরা চাঁদা তুলে ইট, কংকর দিয়েছি অনেকবার। এখন মানুষ চলাফেরাও করতে পারে না। এটি চরম বৈষম্য। শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসলে সরাসরি না দেখলে বোঝঅও যাচ্ছে না যে, মানুষের দুর্গতি কি পর্যায়ে। সড়ক সংষ্কার গঠিত কমিটির সদস্য মনিরুল কবির জানান, আমরাতো হেঁটেও যেতে পারছিনা। জরুরী চিকিৎসার জন্য কোন রোগীও নেওয়ার মতো পরিবেশ নেই এ সড়কের কারণে।
জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর আশরাফুল ইসলাম সজীব জানান, এখানে আমাদের পৈত্রিক বাড়ি। এখানকার মানুষ আওয়ামী লীগ করে। দ্বিতীয় টঙ্গীপাড়া বলা যাবে মুহুরীপাড়াসহ ৫নং ওয়ার্ডকে। এটাই মূলত কারণ। জনপ্রতিনিধিদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে আজকে আমরা সড়কটি নিয়ে কষ্টে আছি। আশা করছি, কষ্ট পেলেও ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।
মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, শিগগির সড়কটি সংস্কার হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হচ্ছে।
-এনইউ/এনএন