For English Version
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
হোম

খলসানি তৈরি করে চলেই বেড়ইল গ্রামের মানুষের জীবিকা

Published : Monday, 26 July, 2021 at 11:06 PM Count : 383

বাঁশ দিয়ে মাছ ধরার যন্ত্র চাঁই তৈরি (স্থানীয় নাম খলসানি) করে শত বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে জয়পুরহাট জেলার বেড়ইল গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বছরের ৬ মাস তাদের ব্যবসা ভাল চললেও বাকি ছয় মাস অভাব-অনটনে কাটে।
     
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই খলসানির চাহিদা তুলনামূলক বেড়ে যায়। সে কারণে জেলার বেড়ইল গ্রামের  নারী-পুরুষ ও শিশুরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাঁশের তৈরি মাছ ধরার বিশেষ এক ধরনের ফাঁদ খলসানি বানানোর কাজে। স্থানীয়ভাবে এর নাম খলসানি হলেও কোথাও কোথাও চাঁই বা ঢেউল নামেও পরিচিত এই যন্ত্রটি। জৈষ্ঠ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত খলসানি বিক্রি থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে আনন্দে দিন কাটে তাদের। বছরের বাকি ৬ মাস অন্য কাজ করে কোন মতে সংসার চালাতে হয় বলে জানালেন বেরইল গ্রামের খলসানি তৈরির কারিগর ও বিক্রেতা রবীন চন্দ্র।

একসময় জেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর ও ধান ক্ষেত পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় বাশের তৈরি মাছ ধরার এই বিশেষ ধরনের যন্ত্র খলসানির  ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এখন আর সে অবস্থায় নেই। সে স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির কারেন্ট জাল। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে করোনা প্রাদুর্ভাব। ফলে  হাট-বাজারে খলসানির আমদানির তুলনায় বেচা-বিক্রি কম বলে জানালেন খলসানি বিক্রেতা মোকলেছার রহমান। তবে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে এখানকার তেরি চাঁই বা খলসানির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বাজারে এখন প্রতি পিচ খলসানি বিক্রি হচ্ছে ছোটগুলো ৪৫০ টাকা আর বড় গুলো ৫৫০ টাকা।
 
রুচির পরিবর্তন আর যান্ত্রিকতার দাপটের পরেও এই হস্তশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য শত বছরের পুরনো বাপ-দাদার এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বেড়ইল গ্রামের এই দরিদ্র পরিবারগুলো। সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা বা ঋণের সুবিধা পেলে  তাদের এ পৈত্রিক ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হতো বলে জানান বেরইল গ্রামের খলসানি তৈরি কারক অরুন চন্দ্র।
 
সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একদিকে যেমন রক্ষা পাবে এই নান্দনিকতা পূর্ণ হস্তশিল্পটি অন্যদিকে খলসানী তৈরির কারিগররা খুঁজে পাবে স্বাবলম্বী হবার পথ, এমন প্রত্যাশা করছেন বেরইল গ্রামের এই দরিদ্র পরিবারগুলোর।

-এসআই/এনএন

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft