বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১২ জন। তাদের মধ্যে ৪০৯ জনই অর্থাৎ ৯৯ শতাংশেরও বেশি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে মোট এক হাজার ৩৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে চলতি মাসেই ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হতে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
তারা বলেন, বর্তমানে এডিস মশার প্রজনন কাল। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে। এই জমে থাকা পানিতে এডিস মশা লার্ভা ছাড়ে। ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গুর প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ব্যক্তি ও পারিবারিক সচেতনতা বেশি জরুরি।
বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪১২ জনের মধ্যে রাজধানীর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আছেন ৭২ জন। তাদের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের ১৯ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চার জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে একজন, বিজিবি হাসপাতালে একজন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে রয়েছেন নয় জন।
এছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আছেন ৩৩৭ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২২ জন, বারডেম হাসপাতালে পাঁচ জন, ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতাল ১০ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ২৩ জন, শমরিতা হাসপাতালে একজন, ডেলটা মেডিকেল কলেজে দু'জন, ল্যাবএইড হাসপাতালে সাত জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৮ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তিন জন ,ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল ৪৪ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১২ জন, খিদমাহ হাসপাতাল ১৮ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, এভারকেয়ার হাসপাতালে সাত জন, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৩ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২ জন, বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডে পাঁচ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ১০ জন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ছয় জন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ১৩ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার জন এবং আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন।
-এমএ