শেরপুরে বিধবাদের কোরবানীর ব্যবস্থা করলেন জেলা প্রশাসক
Published : Tuesday, 20 July, 2021 at 10:00 PM Count : 318
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বিধববাদের জন্য পবিত্র ঈদুল আযহায় নিজেদের করা কোরবানীর মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ সোহাগপুরের বিধবাদের কোরবানীর জন্য একটি গরু কিনে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার কোরবানীর গরুটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কোরবানীর গরু পেয়ে খুশী শহীদ পরিবারের বিধবা ও তাদের স্বজনরা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইই এনও) হেলেনা পরাভীন জানান, সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে শহীদ পরিবাবর্গের জন্য জেলা প্রশাসকের দেওয়া উপহার কোরবানীর গরু হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোহাগপুর বিধবাপল্লী শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার এই ৫০ বছর পর সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর বাসিন্দারা এবার নিজেদের করা কোরবানীর মাংস খেতে পারবেন। এই আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। অনেকেই অনেকভাবে সহায়তা করেছেন। কিন্তু বর্তমান জেলা প্রশাসক এবারের ঈদে কোরবানীর ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তার প্রতি শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের অসীম কৃতজ্ঞতা। ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানীর গরুটি জেলা প্রশাসক কিনে দিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেরপুর নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের বেনুপাড়া এলাকায় ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই পাকহানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষকে হত্যা করে। হানাদার বাহিনীর গণধর্ষণের শিকার হন ১৪ জন নারী। এরপর থেকে সোহাগপুর গ্রামটি বিধবাপল্লী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। যুদ্ধের পর ৫৬ জন বিধবা বেঁচে ছিলেন। বর্তমানে বেঁচে আছেন ২৩ জন। সোহাগপুর গণহত্যায় নেতৃত্বদানের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আল-বদর কমান্ডার জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় হয়। সেই ফাঁসির রায় কার্যকরের পর ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১ সোহাগপুর বিধবাপল্লী’কে ‘সোহাগপুর বীরকন্যা পল্লী’ নামে ঘোষণা করে।
-এমএস/এনএন