মেঘনার তাণ্ডবে দুর্ভোগে রামগতিবাসী
Published : Tuesday, 15 June, 2021 at 3:13 PM Count : 461
লক্ষ্মীপুরের রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের বেহাল অবস্থা, চলাচলের দুর্ভোগে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন সড়কগুলোর সংস্কার না হওয়া এবং সম্প্রতি মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে রামগতি উপজেলার ১০ কিলোমিটার পাকা এবং নয় কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এছাড়াও, কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট আংশিক বিধ্বস্ত হয়। রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের কোরের বাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কটির এক পাশের মাটি ধ্বসে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলে রামগতি-বিবির হাটের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৭ কিলোমিটার রামগতি-আলেকজান্ডার আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল অবস্থা, যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা হাঁটা-চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর মধ্যে চর গোসাই রোড, বিবির হাট রোড, দরবার রোড, রহমত সুয়া রোড, রব রোড ও রামগতি-চেউয়াখালী রোড বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ও চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলো এবং ব্রিজ-কালভার্টগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে রামগতি-আলেকজান্ডারে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পথচারী, সিএনজিচালক, মোটরবাইক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাংপ্রয়োজনের তাগিদে এ সড়কগুলো দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হওয়াসহ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। রামগতি বাজার থেকে সদর আলেকজান্ডারে যেতে আগে সময় লাগতো আধা ঘন্টা, বর্তমানে বহুকষ্ট করে বহু পথ ঘুরে এক ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। তাও আবার চলতে হয় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর একমাত্র অনিরাপদ যান সিএনজি দিয়ে।
অনেকে বলছেন, আমরা লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ জনগণ সব সময়ই অবহেলিত, তাই দীর্ঘ বছর ধরে এ অঞ্চলের সড়কগুলোর বেহাল দশা। ফলে লক্ষ্মীপুর থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অথছ এ অঞ্চলে লক্ষাধিক লোকের বসবাস।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং সম্প্রতি জোয়ার ও ভাটার পানির তোড়ে ওই পাকা সড়কগুলো ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও খোয়া ওঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রামগতি-আলেকজান্ডারে যাওয়ার যে কয়েকটি রাস্তা রয়েছে সবগুলোরই অচলাবস্থা। ফলে, রামগতি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উপজেলা সদর কিংবা জেলা শহরে যেতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এ সুযোগে সিএনজিচালকরা ইচ্ছেমত ভাড়া হাঁকিয়ে নিচ্ছে। কেননা দীর্ঘ বছর ধরে এ অঞ্চলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে বাস চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পাকা সড়কগুলো এবং কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো ও ব্রিজ-কালভার্ট দ্রুত সংস্কার করতে বলা হয়েছে।
-এমএ