For English Version
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
হোম

শঙ্কা জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে মিথিলা

Published : Monday, 10 May, 2021 at 1:36 PM Count : 475

সামাজিক নানা প্রতিকূলতা আর বাধা ডিঙিয়ে নারীরা এগিয়ে চলছে আত্মবিশ্বাসে।দৃঢ়চিত্তে প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখছে যোগ্যতায়-দক্ষতায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন সেক্টরে নারীর এগিয়ে চলা দৃশ্যমান। 

বর্তমানে সকল শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান বা খেলাধুলায় অংশ নিয়ে নারীরা প্রমাণ করছেন নিজেদের দৃঢ় মানসিকতার। আর সেই সাথে তথাকথিত সামাজিকতার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই।

চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ইদানীং প্রায়ই নজরে পড়ছে মিথিলা পাল মুন নামে এক নারীকে। যিনি সাইকেলিং ও রানিংয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট, ঢাকা, শ্রীমঙ্গল, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেলিং এবং রানিংয়ে অংশগ্রহণ করে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। 

মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া মিথিলা পাল মুনের এমন সাফল্য এবং সকল বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে কথা হয় ডেইলি অবজারভারের সাথে। তখন তিনি এই প্রতিবেদককে তাঁর সাফল্যের গল্প শোনান।
মিথিলা বলেন, ছোটবেলা থেকে অনেক শখ ছিল বাইসাইকেল চালানো বা রানিংয়ের প্রতি। কিন্তু সে সময় বাইসাইকেল চালানো আর হয়নি। বিশেষ কথা প্রথম ছেলেদের দেখেই নিজের মধ্যে ইচ্ছা জাগছিলো সাইকেলিংয়ের ব্যাপারে।ভাবলাম এখন সাইকেল চালানোর সুযোগ এসেছে। তারপর আমার ভাইকে বলি। তিনি আমাকে সাইকেল চালানো শেখান। এরপর আস্তে আস্তে বিটিআরআই ও লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন বাগানে গিয়ে চালাতে চালাতে শেখা হয়ে যায়।

পাশাপাশি এই সাইকেল চালানোতে অনেক সিনিয়র বড় ভাইয়েরাও আমাকে অনেক হেল্প করেছেন। পরিবার থেকে উৎসাহ দিয়েছেন মা-বাবা। সাইকেলিং করে অনেক ভালো লাগছে। সাইকেলিং করে আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কার ও মেডেল পেয়েছি। একমাত্র মা-বাবাই আমাদেরকে পাখা মেলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পড়াশোনা ও সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি রানিংয়েও অনেক এগিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রানার্স আপ হয়েছি। তবে ইচ্ছে আছে, এখন দেশের বাইরে গিয়েও রানিংয়ে অংশগ্রহণ করার। শুধু হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহারেই পড়ে থাকা নয়, দৈহিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকতেও সাহায্য করে সাইকেলিং ও রানিংয়ের মাধ্যমে।

শুধু, সাইকেলিং নয়, নিজের প্রয়োজনীয় কাজটুকু সারতেও সাইকেল চড়ে যাতায়াত করি। এর বাইরেও তিনি ‘চা কন্যা শাড়ি ঘর’ নামক পেইজের একজন উদ্যোক্তা। যেখানে অনলাইনের মাধ্যেমে শাড়ির ব্যবসা করে থাকেন। তার অনলাইন  ব্যবসা এখন ভালো পর্যায়ে আছে। তিনি মনিপুরী শাড়ি, বেড শীট, থ্রি পিছ, এপ্লিকের শাড়ি, জামদানী থ্রি-পিস নিয়ে কাজ করছেন।’

তিনি বিয়ের পরও সাইকেলিং ও রানিং চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানান। বলেন, শ্রীমঙ্গলে আমি ছাড়াও আরেকটি মেয়ে আছে সেও সাইকেলিং করে এবং রানিংয়েও আছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের নারীরা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা, মেধা, দক্ষতা ও কর্মের দ্বারা দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে যথেষ্ঠ অবদান রাখতে পারবে।

-আরএ/এনএন

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft