অবৈধ বালু উত্তোলন, দেবে গেছে সেতু
Published : Friday, 30 April, 2021 at 8:29 PM Count : 356
বান্দরবানের লামা উপজেলাধীন ফসিয়াখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের একটি খালের উপরের সেতুটি অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে দেবে গেছে।
জানা যায়, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে একই সড়কের আরেকটি ব্রিজ ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, ব্রিজের নীচে খাল থেকে চকরিয়া, ফাসিয়াখালী ও ঊদগাঁর বহিরাগত সিন্ডিকেটের দ্বারা নির্লিপ্ত বালু উত্তোলনের ফলে এই ধসের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুর একপাশ নীচের দিকে দেবে গেছে। ব্রিজের নিচ থেকে দিন দিন বালু ও মাটি সরে গিয়ে যাওয়ায় ব্রিজটি নড়েবড়ে অবস্থায় রয়ে়ছে। সেতুটি ধসে পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অন্যদিকে, বাঘাইছড়ি ব্রিজটি ঘুরে দেখা যায়- সেতুর নিচে পাইলিংগুলো মাটির উপরে উঠে গেছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের লামা উপজেলা সার্ভেয়ার মো. জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, বোরো ছনখোলা খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের উপরের সেতুটি ব্রিজের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ২০১০ সালে ধসে পড়েছিল। এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য মাটি নিয়ে পরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছ। করোনার কারণে নতুন সেতু নির্মাণের অনুমোদন আটকে আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ত্রিদীপ ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, কিছু দিন আগে আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঘাইছড়ি ব্রিজের উপর বস্তা ফেলেছিলাম। মূলত বালু উত্তোলনের কারণে সেখানকার সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ফিয়াসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ২০১৮ সালে বড় ছন খোলা খালের উপরের সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। বর্তমানে বাঘাইছড়ি খালের উপরের সেতুটিও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি দুটি সেতু ভেঙে পড়ে ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগের সমস্যার মুখোমুখি হবেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজা রশিদ বলেন, শিগগিরই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।
-বিএ/এমএ