ধান কাটতে এলাকা ছাড়বে রাজশাহীর ১৫ হাজার শ্রমিক
Published : Tuesday, 13 April, 2021 at 10:49 PM Count : 407
চলতি মৌসুমে এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ধান কাটতে এলাকা ছাড়বে প্রায় ১৫ হাজার কৃষি শ্রমিক। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সরকারের দিক নির্দেশনা মেনেই ধান কাটতে বাইরে যাবেন তারা। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাছে প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) নেয়ার জন্য গ্রুপ ভিত্তিক আবেদন করছেন।
গত বছরও ১৫/২০ জনের একেকটি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) নিয়ে নিজ উপজেলার বাইরে ধান কাটতে গিয়েছিল।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে চলে গেছেন প্রায় এক হাজারের মতো। এসব শ্রমিকরা ধান কাটতে যাবেন, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশ বৈরি আবহাওয়াতেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার উপজেলার কৃষি শ্রমিকদের জেলার বাইরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার প্রদত্ত সকল নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে অন্য জেলার, উপজেলায় বোরো ধান কর্তনে যাওয়ার জন্য উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) দেওয়া হচ্ছে।
তবে এর মধ্যে কেউ যদি করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসে, তাহলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার ছাতারি গ্রামের শ্রমিক দল নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, এ সময় এলাকায় তেমন কোন কাজ থাকে না। প্রায় দুই মাস বেকার অবস্থায় ধার দেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। ধান কাটার এ মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের জন্য বাইরে যান। একেকজন ১৫ থেকে ২০-২৫ মণ ধান নিয়ে বাড়ি আসেন। যা দিয়ে পরিবারের খাদ্যের অভাব দূর হয় এবং দেনা পাওনাও শোধ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছর যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকায় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া করে কিংবা বিকল্প পথে গিয়েছিলাম। অনেকে বাইসাইকেল, ভ্যানও সঙ্গে নিয়েছিলেন। এবারেও সেই পথে চলতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, যেহেতু শ্রমিকরা এক দলে কাজ করবে। সে জন্য নিজেদের সাবধনতা অবলম্বন করে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশি বেশি পানি পান ও ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
-আরএইচ/এমএ