স্বাস্থ্যবিধি-সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই কারো মধ্যে
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 3:45 PM Count : 405
সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লোকসমাগম কমাতে সরকার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির তৃতীয় দিনেও ভোলার চরফ্যাশনের হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, দোকান ও স্থানীয় বাস স্ট্যান্ডে কমেনি লোকসমাগম।
হাট-বাজার ও সড়কে চলাচলরত পথচারীদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করলেও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
বুধবার দিনব্যাপী উপজেলার সদর রোড, চক বাজার, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, শরিফ পাড়া, আদালত এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কমেনি মানুষের চলাচল। সকাল থেকেই শহরের শরিফ পাড়া পোলো গোরায় দেখা গেছে, প্রায় ১৫/১৬টি রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জটলা। এসব বাহনযোগে মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। করছেন কেনাকাটা। পৌর শহরে এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলে বিকল্প সড়ক দিয়ে সদর রোডে যাতায়াত করছে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো।
সদর রোড, চকবাজার ও কাঁচা বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রয়েছে মানুষের চলাচল।
বেলা ১২টার দিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। সেখানে অধিকাংশ ক্রেতারা মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেক বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
মাছ বিক্রেতা বশির বলেন, বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি হলেও বেচা-কেনা কম। একদিকে চলছে নদীতে অভিযান। অন্যদিকে চলছে নিষেধাজ্ঞা। তাই কেনা-বেচা কম। ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পদ আবুল কালাম বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা মূলত কার্যকর হচ্ছে না। কারণ, নিষেধাজ্ঞায় রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। শহরে প্রচুর মানুষ চলাচল করছে। অথচ শুধুমাত্র বাস বন্ধ করে কোন লাভ হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভান বসাক বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর হচ্ছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
-এসএফ/এমএ