মানহানির মামলায় শমী কায়সারকে অব্যাহতি |
![]() সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় দায়ের করা শত কোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ০৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ০৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান। মূলত এ মামলায় সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই। পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোন সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। এ নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে মানহানিকরের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদি এ বিষয়ে সাক্ষ্য ও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মানহানির মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি চুরি করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। -এমএ |