করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে আক্রান্ত |
![]() গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ হাজার ৪৪১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ০১ হাজার ১৪৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৭৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭১০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ১৯ হাজার ৩১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার চার দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ২৫ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সময়ে মৃত ছয় জনের মধ্যে চার জন পুরুষ, দুই জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিন জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন ও খুলনা বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ছয় জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছররের মধ্যে এক জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৮১৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯১ হাজার ১৩২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন নয় হাজার ৬৮৩ জন। গত বছরের ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। -এমএ |