সীমান্তে প্রতিটি হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক: জয়শঙ্কর |
![]() সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতের পররষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘নো ক্রাইম নো ডেথ। তবে সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের যৌথ উদ্দেশ্য সীমান্তে কোনো অপরাধ, মৃত্যু না হওয়া। আমি নিশ্চিত যে আমরা যদি এটি সঠিকভাবে অর্জন করতে পারি, তবে কোনো মৃত্যু হবে না। আমরা এক সাথে এই সমস্যাটিকে কার্যকরভাবে সমাধান করতে পারি।’ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও সমস্যার বাস্তব সমাধানে কাজ করার কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে হত্যাকাণ্ড ভারতের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই দুঃখজনক। কিন্তু আমরা নিজেদের প্রশ্ন করেছি, সমস্যার মূল কারণ কি এবং এটি হচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।’ তিনি বলেন, আমাদের দু’পক্ষের লক্ষ্য হওয়া উচিত অপরাধবিহীন সীমান্ত, যাতে হত্যাকাণ্ড না হয়। আমার ধারণা আমরা দু’পক্ষ এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো। এই মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দুই দেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করছে। বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হওয়া বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। এর আগে সকালে জয়শঙ্কর ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জয়শঙ্কর ঢাকায় আসেন। সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও বৈঠক করবেন। অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জানতে চাইলে সংক্ষিপ্ত উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পানি নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই পানি সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। সফরের অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে আমি এসেছি। কোভিড শুরু হওয়ার পর, এটি হবে তার প্রথম বিদেশ সফর এবং বাংলাদেশে দ্বিতীয়।’ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক রূপান্তর হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং যে বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়েছে, সেগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের মধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তারও পর্যালোচনা করেছি।’ আমার কাছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অর্থনৈতিক, কানেক্টিভিটি ও মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে। সফরের সময়ে বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করা হবে। এ সময় ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মোমেন বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা আসার কথা আছে নরেন্দ্র মোদির। -এনএন |