শপথ নিলেন রাজশাহীর মেয়র-কাউন্সিলররা |
![]() বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। যেসব পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা শপথ গ্রহণ করেছেন, পাবনা, রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নাটোরের সিংড়া, নওগাঁ ও ধামইরহাট, বগুড়ার শিবগঞ্জ, ধুনট, নন্দীগ্রাম, গাবতলী এবং কাহালু। ড. হুমায়ুন কবীর প্রথমে মুন্ডুমালা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর কেশরহাটের শহিদুজ্জামান শহিদ, কাহালুর আবদুল মান্নান, গাবতলীর সাইফুল ইসলাম, নন্দীগ্রামের আনিসুর রহমান, ধুনটের এজিএম বাদশা, শিবগঞ্জের তৌহিদুর রহমান মানিক, ধামইরহাটের আমিনুর রহমান, নওগাঁর নজবুল হক, সিংড়ার জান্নাতুল ফেরদৌস ও রহনপুরের মতিউর রহমান খানকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর ড. হুমায়ুন কবীর এই ১২ পৌরসভার ৩৯ জন সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান। শেষে এসব পৌরসভার ১১৭ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে শপথ করানো হয়। শপথবাক্য পাঠ করানো শেষে কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘পৌরসভা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়েও এটি বড়। কিছু পৌরসভা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও সীমিত সম্পদ নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ নবনির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে মনে করতে হবে আপনি পৌর এলাকার সব মানুষের মেয়র ও কাউন্সিলর। জনগণ আপনাদের সম্মান দিয়েছে। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। কারণ, আপনার নামের সঙ্গে একটা ‘সিল’ পড়ে গেছে। পরেরবার আপনি নির্বাচিত না হলেও সারাজীবনের জন্য আপনার নামের সঙ্গে ‘মেয়র’ বা ‘কাউন্সিলর’ শব্দটা যোগ হয়েছে। এটা একটা বিরল সম্মান। কাজেই এই সম্মান রক্ষা করে চলতে হবে।’ পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগের এই ১২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুধবার নবনির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেন। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক ও উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -আরএইচ/এনএন |