প্রতিবন্ধী যুবককে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ |
![]() ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতিবন্ধী এক যুবককে বলাৎকারের অভিযোগে আবদুল বারেক নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত আলামিন নামে আরও এক ব্যক্তি পলাতক রয়েছে। সোমবার ভোর রাতে ধামরাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল বারেককে গ্রেপ্তার করতে পারলেও আলামিন নামের অপর ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী যুবককে উদ্ধার করে স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল বারেক (৩২) উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে এবং পলাতক আলামিন একই গ্রামের মৃত আতা মিয়ার ছেলে। এছাড়া বলাৎকারের ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য দেপাশাই স্কুল পাড়া গ্রামে। থানা পুলিশ জানায়, ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামের প্রতিবন্ধী এক যুবককে গত কয়েকদিন আগে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে বলাৎকার করেন দুই সন্তানের জনক আবদুল বারেক ও আলামিন। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী ওই যুবক বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানালে গত শনিবার রাতে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবকের বাবা আনোয়ার হোসেন। পরে সোমবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আব্দুল বারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে থানা হেফাজতে থাকা আবদুল বারেক জানান, ঘটনাটি একবার স্থানীয় মাতবর ইসরাফিলসহ কয়েকজন মিলে মীমাংসা করে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। এরপরও ভোক্তভুগীর বাবা বিষয়টি জানিয়ে থানায় মামলা করেন। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী যুবকের পিতা আনোয়ার বলেন, বারেক ও আলামিন আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে। এর আগেও বারেক এবং আলামিন একাধিকবার বলাৎকারের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল বারেক প্রতিবন্ধী যুবককে বলাৎকারের কথা স্বীকার করে বিষয়টি গ্রাম্য মাদবরদের মাধ্যমে মীমাংসার কথা জানিয়েছেন। তবে আমি ব্যস্ততার কারনে মাদবরদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। দ্রুত তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বলাৎকারের স্বীকার ভুক্তভোগী যুবককে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি আলামিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ওএফ/এসআর |