চর কুকরি মুকরিতে ঝুলন্ত সেতু-হোম স্টে সার্ভিস |
![]() ভোলার চরফ্যাশনের সাগরপাড়ের চর কুকরি মুকরির সবুজ বন, সাগরের নির্মল বাতাস সঙ্গে অতিথি পাখির জলকেলির অপরূপ দৃশ্য মুগ্ধ করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। পর্যটন মৌসুমে কাছ থেকে স্রোতস্বিনী জলের ঢেউ তরঙ্গ, সবুজের হাতছানি, ধূসর বালুচরে লাল কাঁকড়াদের আধিপত্য, মায়া হরিণের দল আর অসংখ্য নাম না জানা পাখ-পাখালি ও মেঘনা-তেঁতুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সমাগম দ্বীপটিকে পর্যটকদের তীর্থভূমিতে পরিণত করেছে। আর এই পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে চর কুকরি মুকরিকে। যুক্ত করা হয়েছে রেস্ট হাউজ, বনের মাঝে ঝুলন্ত সেতু, জিপ ট্রাকিং, রেস্টিং বেঞ্চ, থাকার জন্য হোম-স্টে সার্ভিসসহ নানা প্রকল্প। এসব প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। ![]() তারুয়ার দ্বীপ ও নারিকেল বাগানে পর্যটকদের জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন, রেস্টিং বেঞ্চসহ নানা ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পাল্টে গেছে চর কুররি মুকরির দৃশ্যপট। এ প্রকল্পের কারণে কর্মসংস্থান হয়েছে আড়াই হাজার মানুষের। ![]() ২০১৯ সালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় সাগর ও বনকে নয়নাভিরাম রুপে উপযোগ্য করে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০২১ সালে সুফল পেতে শুরু করে পর্যটক ও স্থানীয়রা। ![]() সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে চর কুকরি মুকরি একটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হতে পারে বলে মনে করেন জনপ্রতিনিধি। চর কুকরি মুকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাসেম মহাজন বলেন, পর্যটকদের আবাসিক সমস্যার সমাধানকল্পে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়লে চর কুকরি মুকরি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। -এসএফ/এমএ |