সোনারগাঁওয়ে ২০টি মেহগনি গাছ কর্তনের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে
Published : Saturday, 20 February, 2021 at 10:09 PM Count : 388
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কোন প্রকার দরপত্র ছাড়াই ২০টি বড় মেহগনি কাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
শনিবার সরকারী ছুটির দিন থাকার সুযোগ নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চত্বরের এ গাছগুলো কর্তন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, গাছ কাটার পর গাছের গর্তের অংশ মাটি দিয়ে ঢেকে পানি মাধ্যমে মাটি সমান করে দিয়েছে। তবে মৃত তিনটি গাছ কাটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম।
জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চত্বরের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য পুরো চত্বরে প্রায় ২ শতাধিক মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলো বড় আকার ধারনের পর উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া এ গাছগুলো ছায়া দান করে থাকে। উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনের প্রায় ২০ বড় আকারের মেহগনি গাছ কোন প্রকার দরপত্র ছাড়া শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। সেখান থেকে মূহুর্তের মধ্যেই গাছের গুড়ি ও ডাল পালা সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে দিনভর সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনের সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনের গাছগুলো কেটে পরিস্কার করা হয়েছে। গাছ কাটার স্থান মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সোনারগাঁও উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী মাঠে পানি দেওয়ার কারনে ওই স্থানে কোন গাছ ছিলো কিনা এটা বোঝার উপায় নেই। তবে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারীভাবে নির্দেশনা রয়েছে গাছ লাগানোর। সরকারী কর্মকর্তা হয়ে ইউএনও আতিকুল ইসলাম নির্দেশনা অমান্য করে গাছগুলো কর্তন করেছেন। এভাবে গাছ নির্বিচারে কাটা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
সোনারগাঁও উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কোন দরপত্র আহবান হয়নি।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটা হয়েছে। তবে শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সৌন্দর্য্যের জন্য তিনটি মরা গাছ কাটা হয়।
সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি অসুস্থ্যতার কারনে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এ বিষয়ে কোন সভায় আলোচনা হয়নি।
এইচএমআর/এসআর