বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাড়ি ‘ব্রুটাস’!
Published : Friday, 12 February, 2021 at 2:34 PM Count : 353
হেরমান লায়ার, জার্মানির টেকনিক মিউজিয়াম জিনসহাইম স্পায়ারের প্রধান। তিনি মাঝেমধ্যে চালান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাড়ি ‘ব্রুটাস’। বিপজ্জনক খেতাব পাওয়ার কারণ এর গতি। আর এ গতির নেপথ্যে আছে গাড়িটির বিমানের ইঞ্জিন!
হেরমান লায়ার বলেন, ‘যখন ইঞ্জিন চলা শুরু করে তখন দারুণ লাগে। আর যখন গতি বাড়তে থাকে তখন ইঞ্জিনের প্রতি আপনার মুগ্ধতাও বাড়ে। তবে সেই সময় আপনাকে শক্ত হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে রাখতে হবে। কারণ আপনি আবেগ ধরে রাখতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটা শুরু করবে।’
তিনি জানান, তারা ব্রুটাসকে রাস্তায় চলার উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। শেষ করতে লেগেছে আট বছর। ১৯০৭ সালের অ্যামেরিকান ভিন্টেজ কার লাফ্রসের চেসিসে একটি ৪৭-লিটার এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন বসান তারা।
হেরমান লায়ার বলেন, ‘ইঞ্জিনটা অলস বসে ছিল। এক দিন মনে হলো, যদি এটাকে চালানোর চেষ্টা করি তাহলে কেমন হয়? এর আগে কয়েকবার সংস্কারের কাজ শুরু করেও পিছিয়ে এসেছিলাম আমরা। কারণ ইঞ্জিনটা তো আসলে ওড়ার জন্য বানানো হয়েছিল। আর আমরা তাকে চালাতে চাইছি। তাই ভয় হচ্ছিল, না জানি কেমন আচরণ করে!’
গত ১৫ বছরে স্পায়ারের একটি এয়ারফিল্ড ও একটি টেস্ট ট্র্যাকে নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা চালালেও কেউ এখনো বলতে পারেন না, গাড়িটা ঠিক কত জোরে চলতে পারে।
হেরমান লায়ার বলেন, ‘আপনি যত জোরে চালানোর সাহস করবেন, তার চেয়েও বেশি গতিতে গাড়িটি চলতে পারে। এখানে একজন ইংলিশম্যান ছিলেন, যার বয়স সত্তরের বেশি ছিল। তিনি একবার ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চালিয়েছিলেন। এখন আমরা অপেক্ষা করছি, কেউ এক দিন এসে বলবেন, গাড়িটি যত জোরে চলতে পারি, আমি তত জোরে চালাব।’
তিনি আর বলেন, ‘আপনি বলতে পারেন গাড়িটা একটু অন্যরকম, ওয়াইল্ড আর অবাধ্য। তবে সত্যি কথা হচ্ছে, এগুলোই ব্রুটাসের প্রতি মানুষের মুগ্ধতার কারণ। তবে একসময় সবাই এই গাড়ি চালাতে ভয় পায়। কেউ অল্পদিনেই ভয় পায় আর কারো হয়তো একটু সময় লাগে। তখন আর কেউ এই গাড়ি চালায় না।’
এইচএস