ঘর সাজাতে পাটের জুড়ি মেলা ভার |
![]() ড্রয়িংরুম থেকে শোবার ঘর—চাইলে পুরো পরিবেশটাই পাটের আবহে তৈরি করা যায়। ড্রয়িংরুমের সোফার কাভারটা পাট দিয়ে বানাতে পারেন। কাভারে মেশিন এমব্রয়ডারিতে নানা রকম নকশা ফুটিয়ে তোলা যায়। পাটের তৈরি নানা রকম ফুলও হয় এখন। সোফার সামনে ফুলদানিতে রাখতে পারেন পাটের তৈরি ফুল। দেখে চোখ জুড়াবে। এখন রি-সাইকেল প্রোডাক্টে ডেকোরেশন পিস করার ট্রেন্ড চলছে। ফেলনা জিনিসগুলোকেই দারুণ সব শোপিসে রূপ দিতে পারেন। সবার ঘরেই জ্যাম-জেলির বোতল থাকে। সেগুলো ফেলে না দিয়ে পরিষ্কার করে লেগে থাকা লেবেল তুলে ফেলে বোতলের ওপরের অংশে পাটের দড়ি মুড়ে দিতে পারেন। আবার বোতলের মাঝখানের অংশেও পাটের দড়ি মুড়ে দিয়ে শোপিস বানাতে পারেন। এ ছাড়া পাট দিয়ে অনায়াসেই ল্যাম্পশেডের সুন্দর কাভার বানানো যায়। জেডিপিসি (জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার) ছাড়াও ক্রিয়েশনস প্রাইভেট লিমিটেডসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাটের তৈরি নানা রকম শোপিস পাওয়া যায়। চাইলে সেখান থেকেও কিনতে পারেন। ড্রয়িংরুমে সেন্টার টেবিলের মাঝখানে পাট দিয়ে বানানো দু-একটা শোপিস রাখতে পারেন। এর ঠিক ওপরে একটা ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন, যেটির কাভার পাট দিয়েই বানানো। সেই সঙ্গে ডাইনিং টেবিলে যে ম্যাট বা রানার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন, সেটিও হতে পারে পাট দিয়ে। হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাট দিয়ে বানানো ম্যাট বা রানার পাওয়া যায়। এই ম্যাটের মাঝখানটায় একটা মাটির পাত্র রাখতে পারেন। দেয়ালে ঝোলাতে পারেন পাটের তৈরি ওয়াল হ্যাঙ্গার। ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে রাখা যাবে। এখন হরেক রকম নকশায় ঘরের পর্দাও হচ্ছে পাট দিয়ে। এসব পর্দা ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে। চাইলে দেয়ালে লম্বা ফিতাওয়ালা পাটের ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। পুতুল ছাড়া হরিণ, হাতি কিংবা ঘোড়ার মতো পাটের তৈরি ছোট ছোট খেলনা পাওয়া যায়। ওয়ার্ডরোবের ওপর বা দেয়াল শোকেসে এ রকম খেলনা রেখে দেওয়া যায়। ঘরেতে রাখা মাটির টবগুলো পাটের ব্যাগের কাভার দিয়েও ঢেকে দিতে পারেন। ঘরের মধ্যে ছোটখাটো শুকনো ময়লা ফেলতে ওয়েস্টবিন হিসেবে পাটের ঝুড়ি ব্যবহার করা যায়। এখন প্রায় সবার বাড়িতেই বারান্দা বা ছোট্ট লন আছে। সেখানে লনের ওপরে নানা রকম পাটের শিকা ঝুলিয়ে ছোট ছোট মাটির হাঁড়ি বা কলস বা গাছের টব রাখতে পারেন। জায়গা একটু বেশি থাকলে পাটের দোলনা ঝোলাতে পারেন। পাট দিয়ে মেয়েদের ক্লাচ, পার্স ইত্যাদির পাশাপাশি ছেলেদের মানিব্যাগও হচ্ছে এখন। আর কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ তো অনেক আগে থেকেই চলছে। পাটের স্যান্ডেলেরও বেশ কদর এখন। এসআর |