ভুল করলেন ডাক্তার, জরিমানা দিলেন কসাই |
![]() বৃহস্পতিবার সকালে মাছবাজার সংলগ্নে জেডিঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এআই টেকনিশিয়ান মোঃ মাহবুবুর রহমানের ভুলের কারণে কসাই জালালকে বিশ হাজার জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজারের প্রতিটি গাভী গরু জবাই করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পেটে কোনো ধরনের বাচ্চা বা অন্য কোনো সমস্যা নেই বলে লিখিতো টোকেন দেওয়া হয়। সেই নিয়মেই তালতলী বাজারের মাংস বিক্রেতা কসাই জালাল একটি গাভী গরু পরীক্ষা করান প্রাণি সম্পদের এ আই টেকনিশিয়ান মোঃ মাহবুবুর রহমানের কাছে। তিনি গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শারীরিক কোনো ধরনের সমস্য ও পেটে বাচ্চা নেই বলে লিখে টোকেন দেন। এরপরে কসাই জালাল একটি গরু জবাই করেন। এ সময় গরুর গর্ভথলেতে বাচ্ছা দেখা যায়। বাচ্চাটির আনুমানিক বয়স দুই মাস হবে। পরে উপজেলা স্যানিটারি অফিসারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলে তিনি মাংস জব্দ করে মোবাইল কোর্টে সোপর্দ করেন। কসাই জালাল বলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদের এআই টেকনিশিয়ান মোঃ মাহবুবুর রহমানের ভুলের কারণে আমাকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের ভুলের কারণে আমি কেন খেসারত দিবো। এআই টেকনিশিয়ান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, দিনে অনেক গরু পরীক্ষা করতে হয়। এজন্য এগুলো বোঝা যায় না। তাই আমার ভুল হয়েছে। আপনারা নিউজ করিয়েন না আমার সাথে দেখা করেন। উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে, প্রতিদিনের মত মাছ বাজার সংলগ্ন জেডিঘাটে গরু জবাই করার পূর্বে অবস্থান করি। এরপর কসাই জালাল একটি গরু জবাই করেন। এ সময় গরুর গর্ভথলী দেখে আমার সন্দেহ হয়। গর্ভ থলীতে আনুমানিক দুই মাসের বাচ্চা দেখা যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক, মাংস সিলগালা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কসাই জালালকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মাংস মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪৪ ও ৪৫ ধারায় কসাই জালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। মাংস মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইচএম/এসআর |