শীঘ্রই ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লক্স ভবনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
Published : Thursday, 28 January, 2021 at 3:57 PM Count : 462
অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পাবনার
ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি। কয়েকদিনের মধ্যেই কমপ্লক্স ভবনটির কার্যক্রম উদ্বোধনের চুড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস ও উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ সড়কের দক্ষিন প্রান্তে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লক্সের নির্মান শুরু হয়। নির্মান সমাপ্তির পর ২০১৯ সালে অক্টোবরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লক্স ভবনটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঈশ্বরদী কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু নানা কারণে কমপ্লক্সের কার্যক্রম শুরু সম্ভব হয়নি। অবশেষে ঈশ্বরদীর ইউএনও এবং উপজেলা প্রকৌশলী উদ্যোগী হয়ে কমপ্লক্স ভবনটির যাত্রা শুরুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতি দ্রুত ভবনটির কার্যক্রম উদ্বোধনের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও বিশিষ্টজনদের সংগে নিয়ে চলতি মাসেই ভবনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই ভবনটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাবনা। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল্যে কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে ঐশী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১০ শতক জায়গার ওপর নির্মিত চারতলা ভিত্তির তিনতলা বিশিষ্ট এ কমপ্লেক্স ভবনের সম্মুখে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দোকানঘর। তৃতীয় তলায় রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস, হলরুম, টয়লেট, লাইব্রেরি ও মিউজিয়াম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লক্স ভবনের কার্যক্রম শুরুর জন্য ইতিমধ্যে তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভবনের জানালার কিছু কাঁচ ভাংগা ছিল সেগুলো মেরামত ও দেওয়ালের কিছু অংশে নতুনভাবে রঙ করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদের উপস্থিততে ভবনটির সার্বিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকা থেকে ফেরার পরপরই সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে ঈশ্বরদীর এই মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লক্সেটির উদ্বোধন করবেন। আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের প্রথমেই কার্যক্রম শুরু যাবে।
সরকারি উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত কমপ্লক্স ভবনের কার্যক্রম শুরুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ায় ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধারা জানান, দেরিতে হলেও কমপ্লক্স ভবনের কাজ শুরু চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা ভীষণ আনন্দিত। এই কমপ্লক্স ভবনের নিজস্ব দোকানঘর বরাদ্দ ও ভাড়া বাবদ প্রতিমাসের বাড়তি আয় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
যা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের খবর। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে হলেও ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পেয়ে আমরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
কেএম/এইচএস