চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লালখান বাজারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল থেকে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর।
এ সময় হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। কাচের বোতল, ইটপাটকেল এলোপাতাড়ি ভাবে ছোড়া হয়।
পরে বিজিবি-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ওই ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলো ‘দখল’ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন। আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর দাবি, তার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়েছে বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে।
১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ভোটে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর এফ কবির মানিক।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি দিদারুল আলম মাসুম দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এই ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন আবদুল হালিম শাহ আলম।
এদিকে, সকাল ৯টার দিকে শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বেলালের সমর্থকদের সঙ্গে মাসুমের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ হয়েছে। তবে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোন সমস্যা নেই।
সকাল ১০টার দিকেও লালখান বাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
খুলশী থানার ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, 'কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।'
-এমএ