দক্ষিণাঞ্চলে চিনির দামেও নতুন রেকর্ড |
![]() তবে আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে যথেষ্ঠ অস্বস্তি রয়েছে। মাধ্যম মানের ‘বিআর-২৮’ বা ২৮ বালাম চালের কেজি এখনো ৪৫-৪৮ টাকা কেজি। মধ্যম সরু মিনিকেট চালের কেজি ৬০ টাকা। অপরদিকে সয়াবিনের দাম ৯০ টাকা থেকে লাফিয়ে যে ১২০ টাকা লিটার ছুয়েছে তাও আর নামার কোন লক্ষন নেই। মসুর ডালের কেজি ১৩৫ টাকা। মুগ ডালও ১৩০ টাকা কেজির নিচে নয়। টিসিবি ৮০ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল ছাড়াও ৫০ টাকা কেজি দরে মুসুর ডাল ও চিনি বিক্রী করার কথা থাকলেও অজ্ঞাতকারনে গত সপ্তহধীককাল ধরে সে কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, টিসিবি এবার পেয়াঁজ নিয়ে যে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে সয়াবিন তেল, চিনি ও মুসুর ডাল নিয়ে অজ্ঞাত কারনে ব্যার্থ হচ্ছে। এব্যপারে বরিশালে টিসিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও ডিলারদের অনাগ্রহের কারনেই বাজারে এসব পণ্য তারা বিক্রী করতে পারছেন না। এর পরেও চেষ্টা চলছে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলা সদরে অন্তত তাদের সব পণ্য পৌছে দেয়ার। এদিকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারও প্রায় হাজার টাকার কাছে। গত দু মাসে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে এলপি গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ২শ টাকারও বেশী বেড়েছে। অথচ অন্তত ১৫ টি কোম্পানী দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এলপি গ্যাস বিপনন করলেও দাম কমার পরিবর্তে তা বৃদ্ধির প্রতিযোগতাই করছে তারা। আর সরকারী ৩টি পেট্রেলিয়াম কোম্পানী চাহিদার ৫ ভাগও সরবরাহ করতে না পাড়ার কারনেই বেসরকারী গ্যাস কোম্পানীগুলো তাদের ইচ্ছেমাফিক মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। আইএইচ/এইচএস |