নকল সনদে ৬ বছর ধরে কলেজে শিক্ষকতা
Published : Monday, 25 January, 2021 at 10:53 AM Count : 365
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নকল সনদে বা ভুয়া সনদে ৬ বছর ধরে কলেজে শিক্ষকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার জন্য গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ মামলা করেনি।
জানা যায়, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ৫ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নিজেকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে সদর উপজেলার রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা (বিএম) বিভাগের ইংরেজি প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন আতিকুর রহমান। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল- ৪০২১২৫৪০, রেজি. নং- ৯০০০২৬৮৭। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বরে এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের সনদপত্র যাচাইয়ের তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয় যে, আতিকুর রহমানের সনদটি সঠিক নয়, সনদটি জাল ও ভুয়া রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির। প্রকৃত রোল নম্বর ধারীর নাম মো. মিজানুর রহমান পিতা. মৃত আবুল হাসিম মাস্টার। অন্য ব্যক্তির সনদপত্র জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান করায় কলেজ অধ্যক্ষ ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে আতিকুর রহমানকে নোটিশ দিলেও তার কোন সদুত্তর না পেয়ে কলেজ কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এ কারণে তার বিরুদ্ধে এনটিআরসিএ কলেজ কর্তৃপক্ষকে থানায় মামলা করার জন্য বলা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জানান, এনটিআরসিএ’র চিঠি পেয়েছি। ব্যক্তির দায় অধ্যক্ষ কিংবা প্রতিষ্ঠান বহন করবে না।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বিষয়টি রুহিয়া থানার, সেক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ররঞ্জন কুমার রায় জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এএ/এমএ