ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ |
![]() খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে একেএম তারিকুজ্জামান কর্মরত আছেন। একেএম তারিকুজ্জামান ৩৪ বিসিএসের কর্মকর্তা, তার পিতা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুয়াদা গ্রামের জাফর মজিদ। তার আহত স্ত্রী নাজিয়া ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুরের নজরুল ইসলামের মেয়ে। নাজিয়া ইসলাম বলেন, গত ২১ জানুয়ারী স্বামীর গ্রামের বাসা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুয়াদায় থাকা অবস্থায় আমাকে মারধর করা হয়। মোবাইলে অন্য নারীর সাথে আমার স্বামী কথা বলছিলেন, কার সাথে কথা বলছিলো সেটা জিজ্ঞেস করাতে আমাকে কাঠ দিয়ে মেরে আহত করে। এতোদিন আমাকে গৃহবন্দী করে রাখে ও আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। বিনা চিকিৎসায় আমি যন্ত্রণাভোগ করছিলাম। তারপর আমাকে ঝিনাইদাহের কালীগঞ্জের তার এক আত্মীয়ের বাসায় রাখেন। সেখান থেকে আজ সকালে আমার বাবা খোঁজ পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে এনে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নাজিয়া ইসলাম আরও জানান, এর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি যৌতুক ও নির্যাতনের দুটি মামলা করেছেন। সেগুলো চলমান আছে। ৬ বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি বিভাগীয় অভিযোগ করেন মাদক গ্রহণ ও অসাদাচরণের। এর জন্যে তাকে তিরস্কার দন্ড দিয়েছে এবং দীর্ঘদিন ওএসডি ছিলেন। তিনি বলেন, গত ৬ মাস আগে পারিবারিকভাবে মীমাংসা হওয়ার পরে একসাথে থাকা শুরু করার সময় তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করলে কাজে যোগদানের সুযোগ পায়। কাজে যোগ দিয়ে আবার মারধর শুরু করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট একেএম রোকনুজ্জামান বলেন, ঘটনার কিছু সত্যতা আছে, বাকিটা অতিরঞ্জিত। আমার মা-বাবার সাথে বেয়াদপি করলে তাকে হালকা মেরেছিলাম। তার বিরুদ্ধে মামলা, মাদক গ্রহণের অভিযোগ ওএসডি ও বিভাগীয় তিরস্কার দন্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি। তিনি প্রতিবেদক তার সম্মানের দিকে তাকিয়ে এবিষয়ে সংবাদ না করতে অনুরোধ করেন, অন্য একজন সাংবাদিকের রেফারেন্স দিয়ে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আফজাল হোসেন বলেন, তাকে কয়েকটি পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফল পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এসকে/এইচএস |