সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের সহকারীর অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের মানববন্ধন |
![]() এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাব-রেজিষ্ট্রার বরারব স্বারকলিপি দেন। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাজী মো: মহিউদ্দিন বলেন, অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি যোগদান করার পর অফিসকে হয়রানীর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করেছেন। তিনি (তুলি) প্রতিদিন দলিল চেক করার নামে নানা অজুহাতে দলিল আটকিয়ে অর্থ দাবি করেন। তার দাবি মতো অর্থ দেয়া না হলে দলিল লেখকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, নানাভাবে হয়রানী করেন। তার এরকম অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এত কিছুতেও লায়লা আক্তার তুলি সংযত হননি। দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি একজন অদক্ষ কর্মচারী। দলিলের আর্টিকেল সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই। অফিসের দলিল লেখকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদারন করেন নিয়মিত। তিনি অফিসের কাজকর্ম ফেলে রেখে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যস্ত থাকেন। দলিল আটকে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লায়লা আক্তার তুলির অপসারন চাই আমরা। অন্যথায় কর্মবিরতী সহ বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হব। দলিল লেখকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না বলে জানান। দক্ষিণ কেরানীঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার মৃত্যঞ্জয় শিকারী বলেন, দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে তাকে অপসারনের দাবি জানিয়ে একটি স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এনইউ/এইচএস |