ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেয়ায় বিচার প্রার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ |
![]() ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেয়ায় এক বিচার প্রার্থীকে জনসম্মুখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার আবুল কালাম এবং তার দুই মেয়ে এসব অভিযোগ করেন। এসময় তারা চাঁদাবাজ অত্যাচারী চেয়ারম্যানের বিচার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম জানান, তার সাথে দাইমুদ্দিন নামে তার এক আত্মীয়ের জমির বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান তার ভাই মামুনকে দায়িত্ব দেন। মামুন জমি মেপে বুঝিয়ে দিবে এবং ঝামলা নিষ্পত্তি করে দেয়ার জন্য তার কাছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসম্মুক্ষে আবুল কালামকে চড়থাপ্পর ও কিলঘুসি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে চৌকিদার দিয়ে তাকে আটকে রাখে। পরে আবুল কালমের ছেলে ঢাকা থেকে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে আবুল কালামকে উদ্ধার করে। আবুল কালাম জানান, চেয়ারম্যান ও তার ভাই শালিস বিচারের নামে এভাবেই চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। আবুল কালাম আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে লালমোহন থানার ওসি মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মুরাদ হোসেন জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে আবুল কালামকে উদ্ধার করেছে। ওসি আরও জানান, আবুল কালামের কাছে চেয়ারম্যান সাহেব ৩৫ হাজার টাকা পাবেন, তাই আবুল কালামকে আটকে রেখেছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ জানান, আবুল কালামের অভিযোগ সত্য নয়। এএম/এইচএস |