অভিনেতা দিলু আর নেই |
![]() বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৪৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার সানাউল কবির এ তথ্য জানান। দিলুর বড় ভাই অভিনেতা আতাউর রহমান জানান, ‘দিলু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আগে থেকেই ফুসফুসে সমস্যা ছিল। মূলত, নিউমোনিয়া অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সবার কাছে দিলুর জন্য দোয়া চাই। ’ তিনি আরও জানান, জানাজা শেষে দিলুকে বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলুকে। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতালে ডা. ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন এ অভিনেতা। গতকাল তার ছেলে অয়ন রহমান জানিয়েছিলেন, অভিনেতার ফুসফুসের ৭০ ভাগই আক্রান্ত হয়েছিল। করোনা নেগেটিভ হলেও তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে ২০০৫ সালে বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছিলেন দিলু। তারপর ২০১৫ সালে তার রক্তে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়া কিডনিতে দুটো পাথরও দেখা দিয়েছিল। তখন চিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন এ অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি ফুসফুসের অসুখে ভুগছিলেন। গত ১২ জানুয়ারি তার শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটে। জরুরি ভিত্তিতে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিটিভিতে প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদের ‘সংশপ্তক’ নাটকে বড় মালু চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন মজিবুর রহমান দিলু। অনেকে তাকে বড় মালু নামেই চেনেন। দিলুর উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’–এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন মজিবুর রহমান দিলু। -এমএ |