করোনায় নতুন রোগী ৮১৩ জন |
![]() প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮১৩ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭২৩ জনে। এ সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৮৪৯ জনের। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সারাদেশে সরকারি-বেসকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৩৭ জনের। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬০৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ১১৪টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৯০ হাজার ১৩৩টি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১টি। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও নারী ৫ জন। ১৬ জনেরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১১৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৭০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ১৯৩ জন। নতুন করে কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৪০৩ জন, ছাড় পেয়েছেন ৭৮৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৮ জন, ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৭৪ হাজার ২০৯ জন। মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৭ হাজার ৮৯জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এসআর |