অভিশংসনের প্রস্তাব দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে: ট্রাম্প |
![]() যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে কংগ্রেসে আনতে যাওয়া অভিশংসনের প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন। সে দিন নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদে তাকে অভিশংসনের একটি প্রস্তাবে বুধবার ভোটাভুটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘আমি মনে করি এটা (অভিশংসনের প্রস্তাব) আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে এবং ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করবে। আমি কোন সহিংসতা চাই না।’ ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি মেক্সিকো সীমান্তে তোলা দেয়াল দেখার জন টেক্সাসে যাচ্ছিলেন। ওই দাঙ্গায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে আর ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন। সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করার জন্য মাইক পেন্সের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও সেটি ব্যর্থ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সহিসংতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সেই প্রস্তাব পাস হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেটা হলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে দু’বার অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে সেই প্রস্তাবটি সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবের পক্ষে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির বেশ কিছু সদস্যকেও ভোট দিতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত এই দলের খুব কম সদস্যই নিজেদের দলের প্রেসিডেন্টকে অপসারণের পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। টেক্সাসে বক্তব্য দেয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘২৫তম সংশোধনীতে আমার জন্য কোন ঝুঁকি নেই। সেটা উল্টো জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের পেছনেই ফিরে আসবে।’ নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল ঘনিষ্ঠদের বলেছেন যে, ডেমোক্র্যাটরা যে অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে, তাতে তিনি খুশী। কেন্টাকির এই সিনেটর মনে করেন, এই সাজার ফলে রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণ করা সহজ হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে অভিশংসিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সিনেটে শুনানির পর অভিশংসন থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। -এমএ |